ভূমি রাক্ষসদের করালগ্রাসে জলাভূমি

Submitted by Hindi on Mon, 02/13/2017 - 13:52
Source
দেশকাল পত্রিকা ০১-১৫ জুলাই, ২০১৩, কলকাতা

কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কলকাতা হাইকোর্টে একটি জলস্বার্থ মামলা দায়ের করে এবং 2012 সালে প্রধান বিচারপতি রাজ্য সরকারকে একটি হাইপাওয়ার কমিটি গঠন করতে আদেশ দেন, যেন তারা জলাশয় সম্পর্কিত একটি নিয়মনীতি প্রণয়ন করেন যাতে ভবিষ্যতে আর যেন কোনও রকম জলাশয় ভরাট সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মানুষের মনে ক্ষুব্ধতা না থাকে।

মানুষ বৃষ্টির জলকেও বাঁধ দিয়ে আটকিয়ে বড় বড় জলাশয়ে সঞ্চিত করতে শিখেছে। মানুষ এমনভাবে ধরা বৃষ্টির জল শুকনোর দিনে ব্যবহার করে থাকে। যে অঞ্চলের জমি খুব উঁচু নিচু সেখানে নিচুর দিকে বাঁধ দিয়ে বড় বড় হ্রদ সৃষ্টি হয়ে থাকে। দীঘি, পুষ্করিণী প্রভৃতি অপেক্ষাকৃত সমতল অঞ্চলে ঐ পদ্ধতিতে একটু অদলবদল করে তৈরি করা যায় জলাশয়। জলাভূমি শব্দটি এখন সুপরিচিত। কোথাও ভূপৃষ্ঠের তল নিখুঁত সমতল নয়। প্রাকৃতিক কারণে কিংবা মানুষের কর্মকাণ্ডের ফলে কিছু অপেক্ষাকৃত নিচু ও উঁচু জায়গা তৈরি হয়েছে। জলের গতিপথে বাধা না থাকলে নিচু জায়গাগুলিতে জল জমে। এই জলের পরিমাণ খুব বেশি হলে সারা বছরই কিছু জল থাকতে পারে। আবার অনেক ক্ষেত্রে শুখা মরশুমে জল থাকে না। বছরের অন্তত কিছু সময় জল থাকলে নিচু জায়গাগুলি পরিণত হয় জলাজমিতে। এই জলাজমিগুলির কিছু ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য থাকে। জল যে সময় জমে থাকে না তখনও এখানকার মাটি হয় অপেক্ষাকৃতভাবে ভেজা। এখানে গজিয়ে ওঠে শর ও হোগলা জাতীয় উদ্ভিদ। জলার ধারেও পাওয়া যায় নানান ধরনের উদ্ভিদ। সারা বছর জল থাকলে অনেক সময়ে জলার জলে থাকে প্রচুর মাছ। মাছ ধরে খায় এমন প্রাণীদের মধ্যে চোখে পড়ে মাছরাঙা ও বাঘরোল। জলা অঞ্চলে বাসা বাধে বহু স্থানীয় ও পরিযায়ী পাখি। উদ্ভিদ, প্রাণী ও পোকা নিয়ে তৈরি হয় জলার বিশেষ ধরনের ইকোলজি।

অনেকদিন আগে 1975-67 -এ ‘দর্পণে বাংলা’য় শান্তিকুমার মিত্র পরিবেশের অশনি সংকেত করেছিলেন। বলেছিলেন, গাঁয়ের পট বদলে অনেক কিছুরই কাল বদলে যাচ্ছে। বৃক্ষরোপণ, পুষ্করিণী খনন, এসব পূণ্যকৃত তিরোহত। কবি বিষ্ণু দে লিখেছেন,- “মনে পড়ে একদিন সে – গ্রামে উনুনে / আগুন নিবন্ত, আগুন আকাশে তোলা, আগুন মাটিতে ঢালা। / যেতে হবে পুবগ্রামে, সদরালা নই, নই নায়েব নবাব, সুতরাং সকালেই যাত্রারাম্ভ। সে কী মাঠ। মাইল – মাইল / অনেক শতাব্দী ধরে হাজার – হাজার খুনে / পৃথিবীকে ছিঁড়ে ছিঁড়ে মেরে গেছে যেন, / আম – জাম – কাঁঠাল – পিপুল কিছু নেই, দীঘি কুয়া / খাল বিল মজানদী কিছু নেই। শুধু নীরক্ত শ্বেতাঙ্গ রৌদ্র। (নিজস্ব সংবাদদাতা, বিষ্ণু দে )।

জলাশয় ভরাট করে শহরে কংক্রিট কীভাবে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করছে, আজ তা নিয়ে পরিবেশবিদদের ব্যাপক নড়াচড়া পশ্চিমবঙ্গের গা গঞ্জ খুঁজে বেড়ালে এমন জলাভূমির সংখ্যা নিশ্চয়ই অসংখ্য। কিন্তু অপ্রিয় হলেও কথাটা সত্যি, এ সমস্ত বিলেরা আস্তে আস্তে জনজীবন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। সভ্যতার গ্রাসে তাদের অপমৃত্যু ঘটছে। গ্রাম গ্রামান্তরে এখনও টিঁকে থাকলেও সংরক্ষণের অভাবে সেগুলি মৃতপ্রায়। আর নগরায়নের ক্ষুধায় শহর ও শহরতলীয় জলাভূমিগুলি হয় দ্রুত বুঝিয়ে ফেলা হচ্ছে অথবা ভয়ংকরভাবে দূষিত বর্জ্য পদার্থ ফেলে ফেলে ভরাট করা হচ্ছে ফলত দূষণের মাত্রা তাতে একশ শতাংশ। পরিবেশ হচ্ছে সকল উন্নয়নের, সকল আর্থিক উন্নতির প্রথম শিকার। দ্রুত বড় হওয়া ও আর্থিক মুনাফার জন্য প্রায় প্রতিদিনই পরিবেশকে ধ্বংস করা হচ্ছে। সুসংহত উন্নয়ন এখন আলংকারিক শব্দ। জলাশয়গুলি হচ্ছে এইসব ধবংসাত্মক সক্রিয়তার অন্যতম শিকার নিচু জমিতে গড়ে ওঠা ঝিল, বিল বা প্রাকৃতিক সরোবর ছাড়াও জলাভূমির মধ্যে পড়ে মানুষের তৈরি করা, দীঘি, পুকুর প্রভৃতি। জলাভূমির বিষয়ক আন্তর্জাতিক রামসার সমঝোতাতে নদী, খাল ও উপকূলীয় সমুদ্রাঞ্চলকেও জলাভূমির মধ্যে আনা হয়েছে। তবে সাধারণভাবে, জলাভূমির আলোচনাতে আসে জলা, বিল, ঝিল, পুকুর, দীঘি প্রভৃতি প্রসঙ্গ।

এবার আলোচনায় আসি একটি পুকুরের কাহিনি আবার একটি না-পুকুরের কাহিনির গল্প দিয়ে। গ্রামের নাম ডাকাকেন্দু, জেলা পুরুলিয়া। এখানে সময়টা উল্লেখযোগ্য।

ফেব্রুয়ারি মাস অর্থাত চাষি তার সারা বছরের পরিশ্রমের ফসল ঘরে তুলেছেন এতেই চলবে আগামি ডিসেম্বর পর্যন্ত। বোরো চাষ পুরুলিয়ায় হয় না বললেই চলে এই অঞ্চলে তো নয়ই। কিন্তু আগামী ডিসেম্বর তো অনেক দূর, এই ফেব্রুয়ারীতেই ডাকাকেন্দু জনহীন। গ্রাম ছেড়ে চলে গেছেন প্রায় আশি ভাগ মানুষ। 1998, 1999 ও 2000-এ খরায় কারও ঘরে খাবার ছিল না এক দানা। পর পর ঘরগুলোতে তালা ঝুলছে।

একটা অদ্ভুত ঘটনা দেখা গেল। পাশাপাশি গ্রাম বিজয়ড়ি সেখানে কিন্তু দুর্দশা এত দূর গড়ায়নি কারণ, সেখানে রয়েছে পূর্বপুরুষেরা একটা বড় পুকুর, যেটি একটি গ্রামকে জীবন দান করেছে জলের মাধ্যমে। তৃষ্ণার জল, গৃহস্থালির জল, কিছু সবজি চাষের জল, আরও অনেক কিছুর জন্য জল ব্যবহার করা হত এই বড় পুকুর থেকে।” (আশাবরী থেকে প্রকাশিত আজো পুকুর আমাদের বই থেকে নেওয়া)

সারা ভারতবর্ষে সব মিলিয়ে 26টি আন্তর্জাতিক রামসার অঞ্চল। সেখানে কলকাতাতে ইস্ট কোলকাতা ওয়েটল্যান্ড বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। জলাভূমির উপকারিতা ও গুরুত্ব নিয়ে একটু আলোচনা করা দরকার। যেমন বন্যা নিয়ন্ত্রণ, মাটির তলার জল রিচার্জ করার ক্ষেত্রে, মাটির উপরিতলের জলের আধার হিসাবে, অসাধারণ জীববৈচিত্রের আধার ও জিনব্যাংক হিসাবে, বায়ুমন্ডলের কার্বন শুষে নেওয়ার ক্ষেত্রে, আঞ্চলিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে এবং আরও নানান ভূমিকায় জলাভূমির গুরুত্ব অপরিসীম। এছাড়া মিষ্টি জলের জলাভূমি আশপাশের নোনতা জলকে প্রবেশ করতে বাধা দিয়ে থাকে দুর্যোগের সময় ইদানীংকালে ম্যানগ্রোভ ওয়েটল্যান্ড ভারত ও বাংলাদেশে প্রতিরোধের পাঁচিল হিসাবে কাজ করেছে, এছাড়া জলাভূমিতে পলি অধঃপতিত হয়ে নদীর নাব্যতাকে বজায় রাখতে সাহায্য করে। জলাভূমিতে মাছ চাষের অবকাশ আছে যা সাধারণ মানুষের খাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে, এবং পরিযায়ী ও লুপ্তপ্রায় পাখি ও সারস, বক, কাঁদাখোঁচার মতন পাখিদের আবাসস্থল হিসাবে ব্যবহৃত হয়। জলাভূমি বিনোদনমূলক অঞ্চল হিসাবেও গণ্য হয়ে থাকে এখন সেই জলাভূমি, ভূমি রাক্ষসদের কাছে আক্রান্ত এবং দারুণভাবে বিপন্ন।

পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ও আমাদের দেশে জলাভূমিতে মাটি, বর্জ্য, ছাই, সিন্ডার প্রভৃতি ফেলে বুঝিয়ে দিয়ে মার্কেট, হাউসিং কমপ্লেকস, কারখানা, হোটেল ও বিলাসবহুল বাড়ি গজিয়ে উঠেছে ও উঠছে কিন্তু আঞ্চলিক পুলিশ প্রশাসন কখনও উদাসীন, কখনও সহযোগী। সরকার বড় বড় কথা বলে কিন্তু কার্যত অনাগ্রহী। বিক্রমগড় ঝিল বুজিয়ে গড়ে উঠেছে দক্ষিণ কলকাতার প্রকান্ড বহুতল কমপ্লেকস, সাউথসিটি। বিশ্ববিদিত পূর্ব কলকাতা জলাভূমি এলাকার একাংশ বুজিয়ে গড়ে উঠেছে হোটেল। আর আজও পূর্ব কলকাতা জলাভূমি অঞ্চল রামসার তালিকার অন্তর্ভুক্ত হওয়ার প্রায় দশ বছর পরেও এই জলাভূমির বিভিন্ন অংশে জলা ভরাটের কাজ অব্যাহত।

কলকাতার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে এবং হাওড়া ও হুগলি জেলায় অজস্র জলাভূমি আক্রান্ত। প্রতিদিন বুঝিয়ে ফেলার কাজ চলছে, এইসব কাজে যুক্ত জমির দালাল জমি ভরাটকারী সিন্ডিকেট ও কর্পোরট পুঁজির অশুভ চক্র। এদের হাতে অনেক অর্থ, গুন্ডা, মস্তান, আগ্নেয়াস্ত্র তাই প্রতিবাদ করতে মানুষ ভয় পায়। প্রতিরোধ করতে গেলে খুন হয়ে যেতে হয়। বালি - জগাছা ব্লকের সীমানার মধ্যে এই জলাকেই সাধারণভাবে জয়পুর বিল বলা হয়ে থাকে। আনমাল সাউথ সিটি নামে একটি প্রমোশনাল সংস্থা সিন্ডিকেট তৈরির মাধ্যমে জলাভূমিটিকে কয়েক বছর ধরে ভরাট করে চলেছে। এই বিশাল জলাভূমিকে বাঁচানোর জন্য আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা তপন দত্ত খুন হয়ে গেলেন। এখনও খুনের কোনও সুরাহা হয়নি নেতা নেত্রী ও পরিবেশ দপ্তর জলা বাঁচানোর বিষয়ে অনেক ভাল ভাল কথা বলেন, কিন্তু বোঝা যায় যে ক্ষমতাসীনদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ মদতেই জলাগুলি বোজানো হচ্ছে। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের অফিসের নাকের ডগায় জলা বুজিয়ে রাস্তা তৈরি করেছে, উদ্দেশ্য হিন্দ মোটরের প্রস্তাবিত টাউনশিপকে রোডের সঙ্গে যুক্ত করা। সিন্ডিকেট তৈরি হয়। ভরাটের কাজ করছে আঞ্চলিক সিন্ডিকেটগুলি। বর্তমান সরকার এইসব সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কড়া কড়া ঘোষণা করে থাকেন। কিন্তু কার্যত তাদের অবস্থান এইসব ঘোষণার 180 ডিগ্রি বিপরীতে।

দুর্গাপুর একসপ্রেসওয়ের ধারে ডানকুনি কোল কমপ্লেকসের কাছে, সেইল-এর বিপরীতে কোকাকোলা ফ্যাকটরির পাশের বিশাল জলাভূমি। এখানে প্রচুর জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীর আস্তানা। এখনও বিভিন্ন আঞ্চলিক পাখি, পরিযায়ী পাখিরা আসে। কিছু কিছু মানুষ ছোট ছোট ডিঙিতে মাছ ধরেন। এই জলাভূমি কিছু ধনী মানুষের লোভের শিকার উন্নয়ন গ্রুফ এর মতন কিছু সংস্থা এই বিস্তীর্ণ জলাভূমিটিকে ভরাট করে চলেছে । জলাভূমি বুজিয়ে গড়ে উঠেছে ছোট ছোট কারখানা। যেমন বায়ো ক্যাপস ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড। সিন্ডার ও ছাইগাদা দিয়ে ভরাট করে ছোট ছোট প্লটে ভাগ করে ও রাস্তা তৈরি করে উন্নয়ন এর নামে এক দুঃস্বপ্নের কাহিনি রচনা করে চলেছে। বলাবাহুল্য, এই উন্নয়নের সঙ্গে যথার্থ কল্যাণের কোনও সম্পর্ক নেই। যদিও আমাদের কাছে এইসব জলাশয় বাঁচানোর জন্য অনেক আইনি ব্যবস্থা আছে, যেমন-

1. বেঙ্গল ওয়াটার হায়াসিস্থ অ্যাকট 1935
2. বেঙ্গল ট্যাঙ্ক ইমপ্রুভেমেন্ট অ্যাকট 1939
3. ওয়েস্টবেঙ্গল ইনল্যান্ড ফিসারিজ অ্যাকট 1993, সংশোধন হয় 2008 সালে
4. পশ্চিমবঙ্গ ভূগর্ভস্থ জল সম্ভাবনা ও পরিচালনা আইন 2005
5. পশ্চিমবঙ্গ ভূমি সংস্কার আইন 2005
6. পশ্চিমবঙ্গ বৃক্ষ সংরক্ষণ আইন 2006
7. পূর্ব কলকাতা জলাশয় সংরক্ষণ আইন 2006

তবুও জলাশয়গুলি ক্রমাগত ভরাট হচ্ছে সকলের চোখের সামনে।এমতাবস্থায় 2010 সালে দিশা, ফিলার, গনউদ্যোগের মতো কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কলকাতা হাইকোর্টে একটি জলস্বার্থ মামলা দায়ের করে এবং 2012 সালে প্রধান বিচারপতি রাজ্য সরকারকে একটি হাইপাওয়ার কমিটি গঠন করতে আদেশ দেন, যেন তারা জলাশয় সম্পর্কিত একটি নিয়মনীতি প্রণয়ন করেন যাতে ভবিষ্যতে আর যেন কোনও রকম জলাশয় ভরাট সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মানুষের মনে ক্ষুব্ধতা না থাকে। গঠিত হাইপাওয়ার কমিটি আগস্ট 2012 তে বেশ কিছু স্পষ্ট ও নির্দিষ্টভাবে কার্যকরী সুপরিশ সরকারের কাছে জমা দেন যা নির্ভর করবে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের সদিচ্ছার ওপর। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তার একটি অংশও কার্যকরী হয়নি। ডানকুনির কাছাকাছি দুর্গাপুর একসপ্রেসওয়ের পাশের মোল্লার ভেড়িতে জমি ভরাটের গতি অব্যাহত। দিশা, ওয়াইল্ড লাইফ, লিগাল ও ইকোলজিক্যাল রাইটস ও কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে যে জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছিল তার ওপর গত 17 মে 2013তে প্রধান বিচারপতি অরুণকুমার মিশ্র ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি একটি অন্তবর্তীকালীন রায় দিয়েছিলেন যে, জলাভূমির চরিত্র বদলানো যাবে না, অপরিবর্তিত অবস্থায় যেমন ছিল তা পুনরায় এনে দিতে হবে। এখন দেখা যাক রাজনৈতিক সদিচ্ছা কীভাবে ভূমি রাক্ষস ও অপউন্নয়নের হাত থেকে জলাভূমিকে বাঁচাতে পারে। তবে আমাদের সতর্ক আন্দোলন ও প্রতিরোধ করা ছাড়া অন্য কোনও উপায় দেখতে পাচ্ছি না।

Deshkal, published 01-15July,2013, Kolkata